কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট (চাকরির পরীক্ষা, ৮ম শ্রেণি, ৯ম শ্রেণি ও ১০ম শ্রেণি)
বাংলা ২য় পত্রের অন্যতম একটি ব্যাকরণ অংশ হলো এই কারক ও বিভক্তি। এখানে আজকের আর্টিকেলে আমি সুন্দর একটি হ্যান্ড নোট শেয়ার করবো যেখানে, এই ব্যাকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সুন্দর করে নির্ণয় করা দেখানো হয়েছে।
এই নোট পড়ার পর কারক নিয়ে আর কখনো সমস্যা হবে না।
কারক ও বিভক্তি মনে রাখার কৌশল এর হ্যান্ড নোট
কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট পেজ নাম্বার = ০১
কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট পেজ নাম্বার = ০২
কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট পেজ নাম্বার = ০৩
কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট পেজ নাম্বার = ০৪
কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট পেজ নাম্বার = ০৫
কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট পেজ নাম্বার = ০৬
কারক ও বিভক্তি হ্যান্ড নোট পেজ নাম্বার = ০৭
আরো পড়ুন >> কারক ও বিভক্তির সুন্দর একটি হ্যান্ড নোট
বিভক্তি মনে রাখার উপায়
বাংলায় বিভক্তি সাত প্রকার।
⇨প্রথমা বিভক্তি: অ এবং ০ ।
⇨দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে এবং রে ।
⇨তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া এবং কর্তৃক ।
⇨চতুথী বিভক্তি: দ্বিতীয়া বিভক্তির মত তবে নিমিত্ত বা জন্য বুঝাবে।
⇨পঞ্চমী বিভক্তি: হতে, থেকে এবং চেয়ে ।
⇨ষষ্ঠী বিভক্তি: র এবং এর ।
⇨সপ্তমী বিভক্তি: এ, য় ,তে থাকে।
কারক ও বিভক্তি মনে রাখার কৌশল
কারক ৬ প্রকার:
⇨কর্তৃকারক;
⇨কর্মকারক;
⇨করণকারক;
⇨সম্প্রদান কারক;
⇨অপাদান কারক; এবং
⇨অধিকরণ কারক।
................................................................
✪কর্তৃকারক: যে কাজ করে সেই কর্তা বা কর্তকারক।
যেমন: আমি ভাত খাই।
বালকেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
☞এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কে’ বা ‘কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তা বা কর্তৃকারক।
কে ভাত খায়?
উত্তর হচ্ছে আমি।
কারা ফুটবল খেলছে?
উত্তর হচ্ছে-বালকেরা।
তাহলে আমি এবং বালকেরা হচ্ছে কর্তৃকারক।
✪কর্মকারক: কর্তা যাকে অবলম্বন করে কার্য সম্পাদন করে সেটাই কর্ম বা কর্মকারক।
যেমন: আমি ভাত খাই।
হাবিব সোহলকে মেরেছে।
☞ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া সেটিই কর্ম বা কর্মকারক।
আমি কি খাই?
উত্তর হচ্ছে-ভাত।
হাবিব কাকে মেরেছে?
উত্তর হচ্ছে-সোহেলকে।
✪করণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র বা উপকরণ বুঝায়।
যেমন: নীরা কলম দিয়ে লেখে।
সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়।
☞ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই করণ কারক।
নীরা কীসের দ্বারা লেখে?
উত্তর হচ্ছে-কলম ।
কী উপায়ে বা কোন উপায়ে কীর্তিমান হওয়া যায়?
উত্তর হচ্ছে-সাধনায়।
✪সম্প্রদান কারক: স্বত্ব ত্যাগ করে দান বা অর্চনা বুঝালে সম্প্রদান কারক হয়। স্বত্ব ত্যাগ না করলে কর্মকারক।
যেমন: ভিক্ষারীকে ভিক্ষা দাও।
গুরুজনে কর নতি।
☞ মনে রাখার উপায় হচ্ছে-কর্মকারকের মত কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে রে উত্তর পাওয়া যায়।
তবে এখানে স্বত্ব থাকবেনা। যেমন মানুষ ভিক্ষারীকে দান করে কোন স্বত্ব ছাড়াই যাকে বলে নি:শর্ত ভাবে। আবার গুরুজনকে মানুষ সম্মান করে কোন স্বার্থ ছাড়াই।
✪অপাদান কারক: হতে, থেকে বুঝালে অপাদান কারক হবে।
যেমন: গাছ থেকে পাতা পড়ে।
পাপে বিরত হও।
☞ এখাছে কোথা থেকে পাতা পড়ে?
উত্তর হচ্ছে-গাছ ।
কি হতে বিরত হও?
উত্তর হচ্ছে – পাপ ।
✪অধিকরণ কারক: ক্রিয়ার সম্পাদনের সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে।
যেমন: আমরা রোজ স্কুলে যাই।
প্রভাতে সূর্য ওঠে।
☞ মনে রাখার উপায় হচ্ছে-
কোথায় এবং কখন দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়।
আমরা রোজ কোথায় যাই?
উত্তর হচ্ছে-স্কুলে। আর স্কুল একটি স্থান।
কখন সূর্য ওঠে?
উত্তর হচ্ছে-প্রভাতে। আর প্রভাত একটি কাল বা সময়।