কারক ও বিভক্তি শিখুন সহজেই (কারক চেনার সহজ ও শর্টকাট উপায়)
আজকের আর্টিকেলে আমি কারক ও বিভক্তি চেনার সহজ কিছু উপায় দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। এখানে প্রতিটি বিষয় ছোট ছোট করে দেওয়া হয়েছে।
কারক ও বিভক্তি সম্পর্কে জেনে নিন
নিচের পুরো অংশটি দেওয়া হয়েছে।
#বিষয়: কারক ও বিভক্তি নির্ণয়ঃ
…………………………………………
কারক চেনার সহজ ও শর্টকাট উপায়
.
_____কে প্রশ্ন করলে বা বাক্যে কর্তা থাকলে =
কর্তৃ কারক
_____কি বা কাকে প্রশ্ন করলে = কর্ম কারক
_____দ্বারা, দিয়া, কতৃক = করণ কারক
_____স্বত্ব ছেড়ে দিয়ে কোনো কিছু দান =
সম্প্রদান কারক _____হতে, থেকে, চেয়ে হলে
হয় = অপাদান
_____সময়, স্থান, কাল, কোথায় হতে = অধিকরণ
কারক
……………………………………………
এভাবে না বুজলে আরেকটু সহজ উপায়:
……………………………………………
১। কে? / কীসে + ক্রিয়া = কর্তৃকারক
___বাক্যের প্রধান কর্তা। . যেমন :
# ঘোড়ায় ( কে?) গাড়ি টানে।
# পাখি (কীসে?) সব, করে রব।
…………
২। কী? / কাকে? + ক্রিয়া = কর্মকারক।
___কর্তার কাজ বোঝাবে। . যেমন :
অর্থ #অনর্থ (কী?) ঘটায়? # ডাক্তারকে ( কাকে?)
ডাক।
…………
৩। (কী / কীসের ) দ্বারা? + ক্রিয়া = করণ কারক।
____যন্ত্র/সহায়/উপায় বা মাধ্যম বোঝাবে।
যেমন : ছেলেরা # ফুটবল ( কী দ্বারা?)
খেলছে।
# টাকায় ( কীসের দ্বারা?) বাঘেরদুধ মেলে।
…………
৪। কাকে দান করা হল? = সম্প্রদান কারক।
_____স্বত্ব ত্যাগ বোঝাবে। . যেমন :
# শীতার্তকে ( কাকে দান করা হল? ) বস্ত্র দাও।
# সৎপাত্রে ( কীসে দান?) কন্যা দান করিও।
…………
৫। ( কী/কীসের /কোথা) থেকে? + ক্রিয়া =
অপদান কারক।
____গৃহীত, উৎপন্ন, চলিত, পতিত ইত্যাদি
বোঝাবে। . যেমন :
# স্কুল ( কীসের থেকে?) পালিয়ে পণ্ডিত হওয়া
যায়না। # সরিষা থেকে ( কী থেকে?) তেল হয়।
…………
৬। কখন? /কোথায়? / কীভাবে?/ বিষয়ে? + ক্রিয়া
= অধিকরণ কারক।
______স্থান, কাল,বিষয়, ভাব বোঝাবে। যেমন :
# ভোরবেলা ( কখন? ) সূর্য উঠে।
সে # বাড়ী ( কোথায়? ) নাই?
………………………………………………
এবার মিলিয়ে নিন-
# মনে_রাখুন___পাগুটাদিপতি
………………………………………………
__শুন্য বিভক্তিতে কারক সমূহঃ
✿➢পাগলে কিনা বলে = কর্তৃ
✿➢গুনীজনে কর ভক্তি =করণ
✿➢টাকায় কিনা হয় = কর্ম
✿➢দ্বীনে দয়া কর = সম্প্রদান
✿➢পথে হল দেরি = অপাদান
✿➢তিলে তৈল হয় =অধিকরণ
শটকাট ছন্দাকারে বিষদভাবে শিখতে ক্লাস করুন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষায় কারক থেকে প্রশ্ন থাকে।
কারক ও বিভক্তি মনে রাখার কৌশল
কারক ৬ প্রকার:
১. কর্তৃকারক;
২. কর্মকারক;
৩. করণকারক;
৪. সম্প্রদান কারক;
৫. অপাদান কারক; এবং
৬. অধিকরণ কারক।
................................................................
✎ ১।কর্তৃকারক: যে কাজ করে সেই কর্তা বা কর্তকারক।
যেমন: আমি ভাত খাই।
বালকেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
... ☞ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কে’ বা ‘কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তা বা কর্তৃকারক।
কে ভাত খায়?
উত্তর হচ্ছে আমি।
কারা ফুটবল খেলছে?
উত্তর হচ্ছে-বালকেরা।
তাহলে আমি এবং বালকেরা হচ্ছে কর্তৃকারক।
✎ ২। কর্মকারক: কর্তা যাকে অবলম্বন করে কার্য সম্পাদন করে সেটাই কর্ম বা কর্মকারক।
যেমন: আমি ভাত খাই।
হাবিব সোহলকে মেরেছে।
...☞ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া সেটিই কর্ম বা কর্মকারক।
আমি কি খাই?
উত্তর হচ্ছে-ভাত।
হাবিব কাকে মেরেছে?
উত্তর হচ্ছে-সোহেলকে।
✎ ৩। করণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র বা উপকরণ বুঝায়।
যেমন: নীরা কলম দিয়ে লেখে।
সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়।
... ☞ এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই করণ কারক।
নীরা কীসের দ্বারা লেখে?
উত্তর হচ্ছে-কলম ।
কী উপায়ে বা কোন উপায়ে কীর্তিমান হওয়া যায়?
উত্তর হচ্ছে-সাধনায়।
✎ ৪। সম্প্রদান কারক: স্বত্ব ত্যাগ করে দান বা অর্চনা বুঝালে সম্প্রদান কারক হয়। স্বত্ব ত্যাগ না করলে কর্মকারক।
যেমন: ভিক্ষারীকে ভিক্ষা দাও।
গুরুজনে কর নতি।
...☞ মনে রাখার উপায় হচ্ছে-কর্মকারকের মত কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে রে উত্তর পাওয়া যায়।
তবে এখানে স্বত্ব থাকবেনা। যেমন মানুষ ভিক্ষারীকে দান করে কোন স্বত্ব ছাড়াই যাকে বলে নি:শর্ত ভাবে। আবার গুরুজনকে মানুষ সম্মান করে কোন স্বার্থ ছাড়াই।
✎ ৫। অপাদান কারক: হতে, থেকে বুঝালে অপাদান কারক হবে।
যেমন: গাছ থেকে পাতা পড়ে।
পাপে বিরত হও।
...☞ এখাছে কোথা থেকে পাতা পড়ে?
উত্তর হচ্ছে-গাছ ।
কি হতে বিরত হও?
উত্তর হচ্ছে – পাপ ।
৬। অধিকরণ কারক: ক্রিয়ার সম্পাদনের সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে।
যেমন: আমরা রোজ স্কুলে যাই।
প্রভাতে সূর্য ওঠে।
মনে রাখার উপায় হচ্ছে-
কোথায় এবং কখন দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়।
আমরা রোজ কোথায় যাই?
উত্তর হচ্ছে-স্কুলে। আর স্কুল একটি স্থান।
কখন সূর্য ওঠে?
উত্তর হচ্ছে-প্রভাতে। আর প্রভাত একটি কাল বা সময়।
বিভক্তি মনে রাখার উপায়:
বাংলায় বিভক্তি সাত প্রকার।
প্রথমা বিভক্তি: অ এবং ০ ।
দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে এবং রে ।
তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া এবং কর্তৃক ।
চতুথী বিভক্তি: দ্বিতীয়া বিভক্তির মত তবে নিমিত্ত বা জন্য বুঝাবে।
পঞ্চমী বিভক্তি: হতে, থেকে এবং চেয়ে ।
ষষ্ঠী বিভক্তি: র এবং এর ।
সপ্তমী বিভক্তি: এ, য় ,তে থাকে।
উপসংহার জেনে নিন
আলহামদুলিল্লাহ ছোট পোস্টটিতে অনেক সুন্দর করে কিছু নিয়ম দেওয়া হয়েছে।